কমল রায় চৌধুরী একজন অত্যন্ত সহজ সরল এবং সাদা মনের মানুষ। তাকে কখনো কেউ কোন ব্যাপারে জড়াতে দেখেননি। খুব স্পষ্টবাদী তাই তাকে অনেকে পছন্দ করে কাছে ডেকে নিয়ে যায় কথা বলার জন্য। কমল রায় একটি সভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করলেও আজ সে বড়ই অসহায়। জীবন পার করছে কোন রকমে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭নং ওয়ার্ডে কমল রায়দের নিজস্ব বাড়ি ঘরও ছিলো কিন্তু আজ তাদের কিছুই নেই, সবই হারাতে হয়েছে তাই এখন পরের বাড়িতে ভাড়া থাকতে হয়।স্ত্রী সু পন্যা রায় ও একমাত্র ছেলে হৃদয় রায়কে নিয়ে তার ছোট পরিবার। ৩ সদস্যের একটি ছোট সংসার হলেও কমল রায় বড়ই চিন্তিত কেননা এখন তার বয়স (৬০) দিনের দিন তার বয়স বাড়ছে, আগের মতো আর পরিশ্রম করতে পারেননা। দু'হাতে লজেন্স, কাঠ পেন্সিল, বইখানা ও বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্রের ব্যাগ নিয়ে মানুষের ধারে ধারে আর যেতে পারছেন না। ছবিতে তার চেহারায় ফুটে উঠেছে ক্লান্ত দেহ যেন আজ তাকে ফেরি করে কিছু রোজগার করার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফেরি করে কিছু একটা বিক্রি করার কাজটি যে কোন সময়ে বন্ধ হয়ে যেতে পারে, বন্ধ হয়ে যেতে পারে সংসার চালানোর চাকা। এধরনের দুশ্চিন্তা সব সময়ই কমল রায় চৌধুরীকে তাড়া করে বেড়ায়।
© Copyright 2017 - 2018 | INTERNATIONAL HUMAN RIGHTS JOURNALIST SOCIETY. Developed by Star Design BD